ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ও বাস্তবতা
রায়হান আহমেদ তপাদার:
প্রকাশ: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১১ এএম

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ও বাস্তবতা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ও বাস্তবতা

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দুই বছর হতে চলল, গাজায় নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটির ২১ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সম্প্রতি গাজার বৃহত্তম শহর গাজা নগরীতে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। উদ্দেশ্য একটাই, জনবহুল এই নগরী পুরোপুরি খালি করে দখলে নেওয়া। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ও জাগিত নিধন বন্ধে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, চাপ আরও বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি।এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৫১টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন ও মধ্য আমেরিকার দেশই বেশি। গত ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিক ভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল এবং কানাডাও একই সিদ্ধান্ত নেয়।২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে শুরু হওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের আগেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ ছাড়া ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তার ঘোষণায় বলেন, 'ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের শান্তির জন্য দ্বিরাষ্ট্র সমাধান পুনরুজ্জীবিত করতে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।’ এদিকে কোনো কূটনৈতিক তৎপরতার সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে যে,যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তটি দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানকে পুনরুজ্জীবিত করার চেয়ে রক্ষা করার চেষ্টায় বেশি নিয়োজিত। তবুও লন্ডন থেকে রাজনৈতিক বার্তা এসেছে-ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল উভয়ের জন্যই ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি অর্জন করা সম্ভব।

এই মুহূর্তে জেরুজালেম এবং ওয়াশিংটন যাই ভাবুক না কেন। যদিও যুক্তরাজ্যের জন্য এটি একটি দীর্ঘ এবং বিলম্বিত সিদ্ধান্ত ছিল। ১৯১৭ সালে তৎকালীন ব্রিটেন সরকার কুখ্যাত বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করেছিল। তবে স্টারমার গ্রীষ্মকালেই তার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, যদি ইসরায়েল বেশ কয়েকটি শর্ত পূরণ না করে, বিশেষ করে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের কোনো অংশকে সংযুক্ত না করার প্রতিশ্রুতি দেয়,তাহলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।নেতানিয়াহুর সরকারকে তাদের সম্মান জানানোর কোনো ইচ্ছা ছিল না। বরং তারা বর্তমানে পূর্ণমাত্রায় গাজায় স্থল আক্রমণ এবং জনগণকে উচ্ছেদ করছে। তার সরকারের অনেক সদস্য বলেছেন, তারা পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার ইচ্ছা পোষণ করছেন। ৭ অক্টোবর,২০২৩ সালে হামাসের হামলার পর থেকে যুক্তরাজ্য সরকার কোনো আপত্তি ছাড়াই গাজায় ইসরায়েলের পদক্ষেপকে সমর্থন করে আসছে।ঋষি সুনাকের নেতৃত্বে তৎকালীন রক্ষণশীল প্রশাসন এবং ২০২৪ সালের জুলাই থেকে স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার সরকার উভয়ই ইসরায়েল সরকারকে সমর্থন করে এসেছে। তারা আন্তর্জাতিক আইন, মানবিক আইন এবং শক্তি প্রয়োগের আনুপাতিক নীতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তারা যেকোনো বিবেচনার চেয়ে ইসরায়েলের বর্ণনা এবং আত্মরক্ষার দাবির অধিকারের প্রতি জোর দিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল পদ্ধতিগতভাবে সে নীতি লঙ্ঘন করেছে। ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েলের অভিযানে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থার সাংবাদিক এবং কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। গাজার ভেতরে জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।গাজায় মানবিক সাহায্য সরবরাহে বাধা,খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুধার্ত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরও যুক্তরাজ্য সরকারকে তার ভয়াবহ অবস্থান থেকে সরাতে পারেনি।

গত কয়েক মাসে গাজায় হতাহতের ঘটনা, যুক্তরাজ্যের জনগণের অভিমত এবং নাগরিক সমাজের চাপে ব্রিটেনের চিন্তাভাবনার বাঁক পরিবর্তন হয়। গাজায় সংঘটিত গণহত্যার অপরাধ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরায়েলের শীর্ষ নেতাদের অভিযুক্ত করায় ব্রিটেন সরকারের হিসাব-নিকাশে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশের আগে কিয়ার স্টারমার পেশায় ছিলেন আইনজীবী। তার নিজের দলের এমপিদের চাপের মুখে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার যে পরিমাণ আইনি তথ্যপ্রমাণ জমা হচ্ছিল তা উপেক্ষা করা স্টারমারের পক্ষে অসম্ভব ছিল। ১৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জোরালো ভিত্তি রয়েছে। এরপর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য প্রশংসা করতে হয়। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিতে অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যোগ দিয়েছে; যা কোনো সাধারণ বিষয় নয়।যুক্তরাষ্ট্র ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে মিলে তারা ‘ফাইভ আইস গ্রুপ’ গঠন করে। যাদের মূলকাজ অ্যাংলো-স্যাক্সন দেশগুলোয় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তারা গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদানের জন্য ন্যাটোর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি স্পষ্টভাবে বলা যায়, এ তিনটি দেশ ওয়াশিংটনের অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছে। ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অটল সমর্থনকে তারা চ্যালেঞ্জ করার সাহস করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলমান সম্পর্কের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্ত বিশ্বের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহাসিকভাবে ব্রিটেনের সব সরকার তার অলিখিত নিয়মের মধ্যে কাজ করেছে। পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিতে ব্রিটেন সবসময় যুক্তরাষ্ট্রকে বিরক্ত করা থেকে এড়িয়ে গেছে।

দুই দশকেরও বেশি সময় আগে, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনকে বাগদাদে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনে অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবের পথ অনুসরণ করতে রাজি করান। এ পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়। তার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য স্নায়ুযুদ্ধ চালিয়ে যায়। অবশেষে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

নেতানিয়াহু সরকারের জন্য এটি অত্যন্ত বিরক্তিকর একটি সিদ্ধান্ত মনে হয়েছে। কারণ ইসরায়েলপন্থি যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এখনো ওয়াশিংটনে রয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন, যা বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা এবং স্বার্থকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে: তা হলো ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বিশেষ করে ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ ও বিতর্কিত অবস্থানে ব্রিটেনের ভূমিকা নিতে হবে। ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে বাণিজ্যশুল্ক প্রয়োগের বিষয়টিও ব্রিটেনকে ভাবিয়ে তুলেছে, এবং চীনের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে বেইজিংয়ের রূপরেখায় সমান্তরাল বিশ্বব্যবস্থা নিয়ে ভাবনা। ব্রিকস এবং সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে তাদের কাজে এগিয়ে যাওয়া। গত ১ সেপ্টেম্বর চীনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক শীর্ষ সম্মেলন তারই প্রতীক বহন করে। প্রথমটি যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সমস্যাগুলো নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি, কয়েক দশক ধরে চলা ট্রান্স-আটলান্টিক জোটের সম্পর্কেও ব্রিটেনকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাশিয়ান আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্য করার প্রচেষ্টা রয়েছে ব্রিটেনের। ইউরোপে নতুন নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে ভাবতে হচ্ছে। কারণ ইউরোপ মহাদেশের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি অনিশ্চিত বলে মনে হচ্ছে। চীন বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ইউরোপীয় অর্থনীতির জন্য চীন একটা বিশাল বাজার।

এমনকি বাণিজ্যের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির চেয়েও বড় বাজার চীন। ব্রিকস এবং এসসিও সদস্যরা যে নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়ার চেষ্টা করছে তা ফেলে দেওয়া যাবে না। ইউরোপের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশ অর্থাৎ চীনের সঙ্গে বিকল্প সম্পর্ক যা ইউরোপের যেকোনো মূল্যে এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে ইউরোপ যে ব্যবসা হারাবে তা যুক্তরাষ্ট্র কখনোই পূরণ করতে পারবে না। এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য এবং ইইউ ট্রাম্প প্রশাসনকে বিরক্ত না করার ব্যাপারে বেশ মনোযোগী। কিন্তু একইভাবে চীনের সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্ক ছিন্ন না করার ব্যাপারেও সতর্ক।

কাতারে ইসরায়েলের বোমা হামলার পর মিত্রদের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে যে বিধ্বংসী বার্তা পাওয়া যায় তাতে লন্ডন এবং ব্রাসেলস উভয়েরই তা স্পষ্টভাবে মনে রাখা উচিত। এখনই সময় যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশক ধরে চলা সম্পর্কের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের সুবিধাগুলোর ব্যাপারে সচেতন হওয়া। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে সদস্যবহির্ভূত পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনের প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হলেও যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দেয়। গত বছরের মে মাসের সাধারণ অধিবেশনে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এ প্রস্তাব ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচনা ও নিরাপত্তা পরিষদকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে উৎসাহী হতে বলে। তবে ফিলিস্তিন এখনো জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ পায়নি। বোঝাই যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিরোধিতা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার এই পদক্ষেপ নিতে বিভিন্ন দেশের সরকারকে থামাতে পারেনি। গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের চিত্র, ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ক্রমাগত আগ্রাসনের কারণে বাড়তে থাকা ক্ষোভ আর এসবের ধারাবাহিকতায় মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া প্রভাবের মত বিষয়গুলোর কারণে বিভিন্ন দেশের সরকার এই পর্যায়ে এসেছে।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com