মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করছে তামাক কোম্পানি: বিশেষজ্ঞরা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
|
![]() মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করছে তামাক কোম্পানি: বিশেষজ্ঞরা কিন্তু তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও কর বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে এই কোম্পানিগুলো বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। তারা মূল্য ও কর বৃদ্ধিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে, চোরাচালানের গল্প এবং অকার্যকর প্রমাণ দেখিয়ে রাজস্ব কম হওয়ার অপচেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও কর বৃদ্ধিতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা। কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো (বিইআর) এবং বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)-এর দ্বারা। বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো প্রাণঘাতী পণ্যের ব্যবসা করে বিপুল মুনাফা অর্জন করছে। তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। সরকারের উচিত, তাদের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে জনস্বার্থে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা, টেকসই তামাক কর ব্যবস্থা গড়ে তোলা, এবং কোম্পানির অবৈধ হস্তক্ষেপ ও মিথ্যাচার প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া। কর্মশালায় মূল বক্তব্যে বিইআরের প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল বলেন, “তামাক কোম্পানি চোরাচালানের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে মূল্য বৃদ্ধিকে ঠেকাতে। গবেষণায় দেখা গেছে, চোরাচালান সংক্রান্ত সংবাদ অধিকাংশই একই ধরনের এবং এর পেছনে কারা আছে তা নির্ধারণ করা যায় না। আবার, সারা বছর চোরাচালানের খবর না থাকলেও জাতীয় বাজেটের আগে এটি বেশি প্রচারিত হয়। এ ধরনের তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং এর পেছনে তামাক কোম্পানির হাত রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সিগারেটের দাম অনেক কম। তাই চোরাচালানের মিথ্যা তথ্য প্রচার করে কোম্পানিগুলো জনসাধারণ ও সরকারের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।” তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা বলেন, “বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক ব্যয়ের রিপোর্টে পরিচালন ব্যয় বেশি দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এছাড়া, তারা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। অথচ তারা রাজস্ব হারানোর ভয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের কোনো বিকল্প নেই।” তিনি সুনির্দিষ্ট তামাক কর কাঠামোর প্রয়োগের সুপারিশও করেন। কর্মশালায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন। এ সময় তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের সুপারিশ করেন। কর্মশালার সঞ্চালনা করেন বিইআরের সিনিয়র প্রজেক্ট ও কমিউনিকেশন অফিসার ইব্রাহীম খলিল। ডেল্টা টাইমস্/সিআর/আইইউ |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |