নিয়ন্ত্রণহীন বাজার জনদুর্ভোগ কমান
|
নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। আকস্মিক পণ্যের দাম বাড়াতে ক্রেতারা পড়ছে মহাবিপাকে। কী কারণে দাম বেড়ে গেল তার সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারছে না। বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম তাও নয়। রাজধানীর কয়েকটি বড় বাজার জরিপ করে দেখা গেছে, সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকা সত্তে¡ও চাল, ডাল, লবণ, মরিচ থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, শাকসবজি, ডিম, মুরগির গড় দাম বেড়েছেÑ ১০ থেকে ৩০ টাকা, যা সত্যিকার অর্থে অবিশ্বাস্য। তা হলে কেন নিত্যপণ্যের বাজার এমন নিয়ন্ত্রণহীন? সাধারণ নিম্নবিত্ত আয়ের ক্রেতা থেকে উচ্চবিত্তের মধ্যেও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। কাঁচাবাজার নিয়ে গণমাধ্যমে হাজারো অভিযোগ উঠলেও এর সুরাহার জন্য সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে আমাদের চোখে পড়েনি। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগের অন্ত নেই। তারা বলছেন, মাছ-মাংসের কথা বাদ দিলাম, এখন সবজি মৌসুম তারপরও সবজির দাম নাগালের বাইরে। কেন? যারা খুচরা বিক্রেতা তারা বলছে, আমরা আড়তগুলো থেকে পণ্য সংগ্রহ করে থাকি। তারা দাম বাড়ালে আমাদের কী করার আছে? আবার আড়ত মালিকরা বলছেন, সরবরাহ কম। ভোক্তা সংরক্ষণ সমিতিও সঠিক কোনো জবাব দিতে পারছে না। সরকারি পর্যায়ে যারা সংশ্লিষ্ট তারা নির্বিকার। সব পাপ যেন জমা হয়েছে ক্রেতাসাধারণের। আমাদের প্রশ্ন, নিত্যপণ্য নিয়ন্ত্রণে দায়ভার কার? কারা বাজারপণ্যের দেখভাল করেন, আদৌ করেন কি না তাও ক্রেতাসাধারণের জানার উপায় নেই। রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার দেখার দায়িত্বপ্রাপ্তরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি, বাজার অস্থিতিশীল করতে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী হঠাৎ করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক সেন্ডিকেটসহ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদেরও রয়েছে অদ্ভুত বয়ান। তারা বলছে, এখন বনভোজন মৌসুম, মাংস এবং মুরগির দাম বাড়বেই। বাজারে কি মাংস-মুরগি অপ্রতুল? জরিপ অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে সব নিত্যপণ্যের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকগুণ বেশি বলে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের নিত্যপণ্যের রফতানি বিস্ময়করভাবে বেড়েছে। তার মধ্যে ইলিশ থেকে পাটশাক পর্যন্ত পৃথিবীর যেকোনো গ্রোসারিশপগুলোতে সয়লাব। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে পণ্যগুলো বিদেশে রফতানি করা হয়। তা ছাড়াও অতি নিকটে আমাদের দেশে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেনি যে কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |