হাতিরঝিলের ‘ক্যানসার’
|
শেষ পর্যন্ত হাতিরঝিলের ক্যানসার খ্যাত বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির এই ভবনটি গড়ে উঠেছিল সরকারি জমির ওপর। হাতিরঝিল সংস্কার করে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা এবং জনগুরুত্বপূর্ণ ওয়ে তৈরি করে সরকার। তারপরই হাতিরঝিলের সৌন্দর্যহানিকর ভবনটির প্রতি দেশবাসীর ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এ নিয়ে সরকার এবং বিজিএমইএ’র মধ্যে দীর্ঘ আট বছর মামলা চলে। ১৯১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট ওই ভবনকে হাতিরঝিল প্রকল্পের ক্যানসার উল্লেখ করে রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। তারও দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে সরকার এবং বিজিএমইএ’র মধ্যে অনেক জল ঘাঁটাঘাঁটি হয়। পোশাক রফতানিকারক সমিতি কয়েকদফা সময় নিলেও তাদের শেষরক্ষা হয়নি। কারণ হিসেবে উল্লেখ করতে হয়, বিজিএমইএ’র মতো দেশের প্রধান রফতানিকারক সমিতি নৈতিকভাবে প্রথমেই পরাজিত হয় সরকারি সম্পদ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে। তারা কি জানে না সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে দখল করা যায় না! অতিনিকট সময়ে অর্থাৎ ওয়ান ইলেভেনের সময় বিজয় সরণির মোড়ে সরকারি প্রয়োজনে বহুতল র্যাংগস ভবন গুঁড়িয়ে দিয়ে বিজয় সরণি-তেজগাঁও ওভারব্রিজ সংলগ্ন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নির্মিত হয়েছে। বিজিএমইএ অবশেষে হাতিরঝিল থেকে তাদের ভবনটি সরিয়ে নিচ্ছে। আইনকে সম্মান দিয়ে তাদের শুভ চেতনার প্রতি আমাদের শুভাশিস রইল। |
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |