গণহত্যা যার ইংরেজি এবহড়পরফব একটি সংকর শব্দ। মূল গ্রিক শব্দ মল্কহড়ং যার অর্থ (জাতি, মানুষ) এবং ল্যাটিন পরফব (হত্যাকান্ড)-এর সমন্বয়ে গঠিত। (কখনও কখনও গণবিধ্বংসীর সঙ্গে তুলনা করা হয়) বলতে নির্দিষ্ট একটি ভৌগোলিক অংশে একযোগে বা অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হত্যা করাকে বোঝায়। গ
ণহত্যা জাতিগত, বর্ণগত, ধর্মীয় বা নৃতত্ত¡ীয় গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত মানুষজনকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার ইচ্ছাকৃত কার্য। ‘গণ’-এর অর্থ গোষ্ঠী এবং ‘হত্যা’র অর্থ সংহার। অর্থাৎ গণহত্যা হলোÑ কোনো গোষ্ঠীভুক্ত মানুষজনকে মেরে ফেলা। ইংরেজি প্রতিশব্দ জেনোসাইডের উৎসও একই। এটি গ্রিক জেনোস, অর্থাৎ মানুষ বা বর্ণ থেকে এবং সাইড অর্থাৎ মারা থেকে এসেছে। সেহেতু জেনোসাইডের বা গণহত্যার অর্থ ‘জাতীয়, নৃগোষ্ঠীয়, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে করা কার্য’।
এফবিআইয়ের মতে, গণহত্যা হলো সেই হত্যাকাÐ যখন কোনো একটা ঘটনায় চার বা তার অধিক সংখ্যক মানুষ মারা যায় এবং হত্যাকাÐের মাঝে কোনো বিরতি থাকে না। গণহত্যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘটে, যেখানে এক বা একাধিক মানুষ অন্যদের মেরে ফেলে। অনেক গণহত্যার শেষে হত্যাকারী আত্মহত্যা করে অথবা পুলিশের হাতে নিহত হয়। বর্তমান পর্যন্ত বেশ কিছু গণহত্যার ঘটনা দেখা গেছে। ইহুদিদের হত্যার সময়ে জেনোসাইড শব্দ প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। পরবর্তীকালে গ্রিক গণহত্যা, আর্মেনীয় গণহত্যা, এশিরিয়ান গণহত্যা, ইউক্রেনীয় গণহত্যা, বাংলাদেশ গণহত্যা, কম্বোডীয় গণহত্যা, গুয়েতেমালা গণহত্যা, কুর্দীয় গণহত্যা, বসনীয় গণহত্যা, রোরুন গণহত্যা উল্লেখযোগ্য। সূত্র : ইন্টারনেট