হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শহীদদের রূহ সবুজ রঙের পাখির পেটের ভেতরে বিশেষ সম্মানিত অবয়বে অনন্য জীবন লাভ করে। আর তাদের জন্য আরশে প্রদীপসমূহ লটকানো হয়। তারা জান্নাতে যেখানে খুশি বিচরণ করেন।’ (মুসলিম : ১৮৮৭)
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘শহীদগণ জান্নাতের দ্বারে নির্ঝরণীর ঝলকে সবুজ গম্বুজের মধ্যে অবস্থান করেন। তখন জান্নাত থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের নিকট রিজিক আগমন করে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ২৩৮৬)
হজরত কাব ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুমিনের রূহ পাখিরূপে জান্নাতের গাছে বিচরণ করে, যে পর্যন্ত রোজ কিয়ামতে তার দেহে তাকে ফেরানো না হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ১৫৩৫১)
হজরত মিকদাদ ইবনে মাদী কারাব (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘শহীদের জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট ছয়টি বিশেষ মর্যাদা রয়েছে : ১. তার রক্তের প্রথম ফোটা পতনের সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ২. সে জান্নাতে তার মর্যাদা অবলোকন করে। ৩. তাকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ৪. তার মাথায় সম্মানের মুকুট স্থাপন করা হয়, যার একটি ইয়াক‚ত দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তার থেকে উত্তম। ৫. তাকে আনত-নয়না ৭২ জন হুরের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়। ৬. তার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে সত্তরজনের ব্যাপারে তার সুপারিশ কবুল করা হয়।’ (তিরমিজি : ১৬৬৩)

উহুদের যুদ্ধে শহীদদের ব্যাপারে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তাদেরকে গোসল দিয়ো না। কেননা প্রত্যেকটি যখম বা প্রত্যেকটি রক্ত কিয়ামতের দিন মিশক হয়ে সুঘ্রাণ ছড়াতে থাকবে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ১৪১৮৯)গ্রন্থনা : নাঈম হাসান