ফুটবল কখনও একজনের খেলা নয়: হামজা
ডেল্টা টাইমস ডেস্ক:
|
![]() হামজা চৌধুরী : ফাইল ছবি হামজা শুরুতে হংকং ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে বলেছেন, ‘কোচ সব বড় সিদ্ধান্ত নেন। কিছু বিষয় নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেন। সেখানে আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে সহায়তা করি। দল সপ্তাহখানেক ধরে খুব পরিশ্রম করছে। ইনশাআল্লাহ পরিকল্পনা ঠিক আছে।’ সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে এখনও হতাশা তার কণ্ঠে, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচে সেটা কাজে লাগেনি। বড় মোমেন্টে আমরা নিজেদের হতাশ করেছি। দুই গোল হজম করেছি। রক্ষণে আরও ভালো করলে হয়তো গোল হজম করতাম না। এছাড়া আমরা একটা পেনাল্টি পেতাম। ফুটবল এমনই। মাঝে-মধ্যে আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কোচ এবং দল একসঙ্গে খুব ভালো কাজ করছে। হংকং ম্যাচ অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। বিশ্বাস করি আমরা অবশ্যই জিতবো। তাই আমাদের পরিকল্পনায় অটল থাকতে হবে।’ নিজেদের দলের ওপর আস্থা রেখেছেন হামজা। তাই বললেন, ‘এটা ফুটবল। চলার পথে এখানে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। আমরা কোনও অজুহাত দাঁড় করাবো না। ভারত ও সিঙ্গাপুর ম্যাচেও চোট সমস্যা ছিল। শমিত আজ আসবে। আমাদের স্কোয়াড খুব ভালো।’ হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে হামজার সম্পর্ক ভালো। তা নিজেই জানালেন হামজা, ‘ব্যাপারটা ভিন্নভাবে দেখা যায়। কিন্তু আমরা কোচের ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখি—বিশেষ করে আমি। আমার সঙ্গে কোচের সম্পর্ক খুব ভালো, আমি মনে করি তিনি খুব বুদ্ধিমান একজন মানুষ। দলটা তরুণ এবং নতুন, তাই সবকিছু একসঙ্গে গাঁথা সহজ নয়।’ মাঠে সব জায়গায় অবদান রাখতে চান হামজা, ‘মিডফিল্ডারের সংজ্ঞাই হলো আক্রমণ ও রক্ষণ দুই জায়গায় অবদান রাখা। তাই ইনশাআল্লাহ, আমি দুটোই ভালোভাবে করতে পারবো। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, তবে আমি বেশ রোমাঞ্চিত, আমি খুব উপভোগ করছি।’ এবারও হামজার স্ত্রী ও বাচ্চারা এসেছে। তাদের বাংলাদেশে আসার অভিজ্ঞতা ইতিবাচক। নিজের খেলা নিয়ে হামজা বলেছেন, ‘দিনের শেষে ফুটবল একটা দলগত খেলা। আমি মনে করি, যদি মেসি নিজেও বাংলাদেশের হয়ে খেলতেন, তবু আমাদের ট্যাকটিকস ঠিক করা এবং টিম স্পিরিট গড়ে তোলার মতো চ্যালেঞ্জ থাকতোই। তাই ফুটবল কখনও একজনের খেলা নয়। বিশেষ করে আমাকে কেন্দ্র করে তো নয়ই।’ আরও যোগ করে বলেন, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা যেভাবে একটা জাতি হিসেবে আছি, সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ থাকা। ইনশাআল্লাহ, আমরা একসঙ্গে থাকলে একটা দেশ হিসেবে সফল হতে পারবো।’ ডেল্টা টাইমস/সিআর
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |