বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস/ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা কোনো দুর্বলতা নয়
ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:১৬ পিএম

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস/ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা কোনো দুর্বলতা নয়

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস/ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা কোনো দুর্বলতা নয়

প্রতি বছর ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস শুরু হয় ১৯৯২ সালে, যখন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথ (WFMH) এর উদ্যোগে প্রথমবার এই দিবসটি পালন করা হয়। এর মূল লক্ষ্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় থাকা ব্যক্তিদের সহায়তা ও সমর্থন বাড়ানো। দিবসটির প্রধান উদ্দেশ্য মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রচার ও জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। সময়ের সাথে সাথে, এই দিবসটি বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, এর সমাধান এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস বিশ্বজুড়ে মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে একটি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। 

২০২৫ সালের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো পরিষদ ও জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য বা সেবা প্রাপ্তি: বিপর্যয় ও জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য। এই প্রতিপাদ্য সংঘাত, দুর্যোগ ও বাস্তুচ্যুতির মতো সংকটকালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করার উপর জোর দেয়। এই প্রতিপাদ্যটির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব এবং জরুরি অবস্থায় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয় ।

মানসিক স্বাস্থ্যকর বলতে বোঝায় একটি সুস্থ, সুষম অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি নিজের ক্ষমতা বুঝতে পারে, জীবনের স্বাভাবিক চাপ সামলাতে পারে, উৎপাদনশীলভাবে কাজ করতে পারে এবং সমাজে অবদান রাখতে সক্ষম হয়। এটি শুধু মানসিক অসুস্থতা না থাকা নয়, বরং আবেগগত, মনস্তাত্ত্বিক, এবং সামাজিক সুস্থতার এক সামগ্রিক অবস্থা, যা একজন মানুষের চিন্তা, অনুভূতি, আচরণ ও সম্পর্ককে প্রভাবিত করে।

মানসিক প্রতিবন্ধী বা বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা (Intellectual Disability) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে এবং তার দৈনন্দিন জীবনের কাজ সম্পাদনের দক্ষতা, যেমন - যোগাযোগ, সামাজিক আচরণ এবং নিজের যত্ন নেওয়া, সীমিত থাকে। এই অবস্থা সাধারণত শৈশবে বা জন্মের সময় থেকে দেখা যায় এবং এটি একটি বিকাশগত প্রতিবন্ধকতা।

মানসিক স্বাস্থ্যকর হওয়ার বৈশিষ্ট্য - নিজের সামর্থ্য ও সম্ভাবনাকে বুঝতে পারা। দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক চাপ ও চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার ক্ষমতা। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উৎপাদনশীল ও কার্যকর থাকা। নিজের পরিবার ও সম্প্রদায়ের জন্য অর্থপূর্ণভাবে অবদান রাখতে পারবে। অন্যদের সাথে সুস্থ ও ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখা। জীবন ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা এবং নিজের ক্ষমতাগুলোকে কাজে লাগাতে পারা। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারা, ইতিবাচক অনুভূতি ধারণ করা এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও ল্যানসেট-এর তথ্য অনুযায়ী: বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, যা বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক-অষ্টমাংশ। এই সংখ্যাটি প্রতি বছর বাড়ছে এবং অনেক মানুষই এই সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে চান না। বিশ্বজুড়ে প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ১ জন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। ২০২১ সালের একটি জরিপ অনুসারে, মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের ২২.৮% বা প্রায় ৫৭.৮ মিলিয়ন মানুষ মানসিক অসুস্থতার সম্মুখীন হয়েছেন।

বিশ্বব্যাপী বয়স ভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য-বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অর্ধেকের বেশি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ১৪ বছর বয়সের মধ্যেই শুরু হয়। এই বয়সে মানসিক চাপের সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে পারিবারিক সমস্যা (যেমন নির্যাতনের শিকার হওয়া, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ), স্কুল সম্পর্কিত চাপ, নতুন বন্ধু তৈরি করা বা পরীক্ষার উদ্বেগ। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ আত্মহত্যা, যা এই বয়সে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে দ্রুত মস্তিষ্কের বিকাশ, হরমোনের পরিবর্তন, শিক্ষাগত চাপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব ও সম্পর্কের জটিলতা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশ্বব্যাপী তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি দেখা যায়, যেখানে অর্ধেকের বেশি সমস্যা ১৪ বছর বয়সের আগেই শুরু হয় এবং আত্মহত্যার মতো ঘটনা এই বয়সের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।

প্রাপ্তবয়স্ক (১৮-৪৯ বছর) বয়সীদের মধ্যে মানসিক অসুস্থতার প্রাদুর্ভাব (AMI) সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এ বয়সীদের মধ্যেকার মহিলাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলেও, এটি বার্ধক্যের অবশ্যম্ভাবী অংশ নয় বরং প্রতিরোধযোগ্য।

বাংলাদেশে বয়স ভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা : জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯ অনুসারে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ১৭% এবং শিশুদের মধ্যে প্রায় ১৩.৬% মানসিক রোগে আক্রান্ত। কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মানসিক চাপ দেখা যায়, যার প্রধান কারণগুলি হল হরমোনের পরিবর্তন, পড়াশোনার চাপ এবং সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যা। অন্যদিকে, বয়স্কদের মধ্যেও বার্ধক্যজনিত শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

প্রথম আলোর তথ্য অনুসারে, ১৮ বছরের বেশি বয়সী ১৭% মানুষ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত। এই মানসিক ব্যাধিগুলির মধ্যে বিষন্নতা এবং সাইকোনিউরোসিস অন্যতম। শিশুদের মধ্যে ১৩.৬% এরও বেশি মানসিক ব্যাধিতে ভুগছে। কিশোর বয়সে হরমোনের পরিবর্তন, নতুন বন্ধু তৈরি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার চাপ, পারিবারিক সমস্যা যেমন বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, বা প্রিয়জনের মৃত্যুর মতো ঘটনা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। কিশোর বয়সীদের মধ্যে বিষন্নতা একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক সমস্যা।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে বার্ধক্যজনিত শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা যায়, যা বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। বাংলাদেশে লিঙ্গভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থা পুরুষ ও মহিলাদের জন্য ভিন্ন, যেখানে নারীরা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য, হয়রানি, বেতন বৈষম্য ও কাজের সুযোগের অভাবে বেশি চাপ, উদ্বেগ ও দুঃখ অনুভব করেন। অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ এবং সামাজিক কুসংস্কারের কারণে মানসিক রোগ চিহ্নিত করা ও চিকিৎসা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে উভয় লিঙ্গের মানুষই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। নারীরা কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ- ভিত্তিক হয়রানি, বৈষম্য এবং বেতন বৈষম্যের কারণে মানসিক চাপে ভোগেন, যা তাদের সুস্থতা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট আঘাত, সহিংসতা ও ক্ষয়ক্ষতির মতো বিষয়গুলো নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

বিশ্বব্যাপী তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি দেখা যায়, যেখানে অর্ধেকের বেশি সমস্যা ১৪ বছর বয়সের আগেই শুরু হয় এবং আত্মহত্যার মতো ঘটনা এই বয়সের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ। বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলেও, এটি বার্ধক্যের অবশ্যম্ভাবী অংশ নয় বরং প্রতিরোধযোগ্য।

আয় সম্পর্কিত বঞ্চনা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অন্যান্য নেতিবাচক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার সঙ্গে যুক্ত, যা মহিলাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। অনেক পুরুষ পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশা পূরণের চাপ, বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে পারেন।

বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যকে এখনও একটি লজ্জাজনক বিষয় হিসেবে দেখা হয়, যা মানসিক রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা পেতে বাধা দেয়। মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অভাব এবং পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব লিঙ্গ নির্বিশেষে অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে। বাংলাদেশের প্রায় ১৭% মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলেও, দক্ষ জনবল, অবকাঠামো ও জনবলের অভাব রয়েছে। প্রায় ৯১% প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৯৪% শিশু মানসিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে থাকে। বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সংখ্যা খুবই কম, যা দেশের বিশাল সংখ্যক মানসিক রোগীর তুলনায় অপ্রতুল। দেশের ৯১% প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৯৪% শিশু মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং জনসচেতনতার অভাব রয়েছে।

বাংলাদেশে মানসিক রোগীদের জন্য প্রধান সরকারি হাসপাতাল হলো জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (ঢাকা) এবং পাবনা মানসিক হাসপাতাল। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (ঢাকা), এটি দেশের একমাত্র সরকারি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, যা শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত। এখানে মাত্র ১০ টাকা ফি দিয়ে চিকিৎসা নেওয়া যায়। পাবনা মানসিক হাসপাতালটিও দেশের অন্যতম প্রধান সরকারি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। সরকারি হাসপাতালের অপ্রতুলতার কারণে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকও সেবা প্রদান করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থা মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং প্রদান করে।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটি একটি সাধারণ মানবিক অভিজ্ঞতা। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি, যেমন ওজি অসবোর্ন (বাইপোলার ডিসঅর্ডার), ভিনসেন্ট ভ্যান MM (ডিপ্রেশন ও সিজোফ্রেনিয়া) এবং আব্রাহাম লিংকন (ডিপ্রেশন), মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এই অসুস্থতা সত্ত্বেও তাঁদের জীবনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। পৃথিবী অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি ও কিংবদন্তি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েও স্ব- কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিংবদন্তী রক তারকা অজি অসবোর্ন তার জীবনের বেশিরভাগ সময় বাইপোলার ডিসঅর্ডারের সাথে লড়াই করেছেন এবং বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও উন্মাদনার অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। মানসিক রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সুস্থ জীবনযাপন করা, যেখানে পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও মানসিক চাপ কমানো, এবং সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা অন্তর্ভুক্ত। 

পর্যাপ্ত এবং গভীর ঘুম মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলো নিয়ন্ত্রণ করে, যা মেজাজ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। শারীরিক কার্যকলাপ মানসিক চাপ কমাতে এবং মনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য শখের চর্চা, মেডিটেশন বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো কৌশলগুলো ব্যবহার করুন। পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। সামাজিক সমর্থন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যদি আপনি মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন হন, তবে থেরাপি বা কাউন্সেলিং গ্রহণ করতে পারেন। এটি মানসিক যন্ত্রণা মোকাবেলা করতে এবং আত্ম-সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে। মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ মনে হলে বা লক্ষণ দেখা দিলে প্রথম থেকেই সচেতন হলে মানসিক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব। ঘুমানোর আগে মোবাইল, ট্যাব বা কম্পিউটারের ব্যবহার কমিয়ে দিন।

স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে কিছু মানসিক চর্চা ও কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হলে প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া এবং সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর বিষয়ে সঠিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কুসংস্কার দূর করতে এবং সহায়তা চাইতে উৎসাহিত করার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।


লেখক: প্রাবন্ধিক, কথা সাহিত্যিক এবং প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক 
মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি অ্যালকোহল।


ডেল্টা টাইমস্/ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন/আইইউ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com