বিশ্ব ডাক দিবস/আবার ডাকহরকরা ফিরে আসুক
ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন
প্রকাশ: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:৩৫ পিএম

বিশ্ব ডাক দিবস/আবার ডাকহরকরা ফিরে আসুক

বিশ্ব ডাক দিবস/আবার ডাকহরকরা ফিরে আসুক

ঠক ঠক ঠক...কে? ডাক পিয়ন(ডাক হরকরা)। চিঠি ও পারসেল! কার চিঠি/পারসেল এলো? !!! বব টক পঠইল পঠও ন পঠইল ভত অভব মরণ !!! অর্থাৎ, বাবা টাকা পাঠাইলে পাঠাও না পাঠাইলে ভাত অভাব মরণ। বিদেশ গিয়া বন্ধু তুমি আমায় ভুইলো না, চিঠি দিও পত্র দিও জানাইও ঠিকানা রে, জানাইও ঠিকানা। এই যে কৌতূহল, আকুলতা-এই অনুভূতির কোনো ভাষা নেই। প্রিয় মানুষের হাতে লেখা ঠিকানার কালো অক্ষরগুলোয় এবং পারসেল গুলোয় কী মায়া, কী মমতা, কী মোহ, কী জাদু! - এই অনুভবের মধ্যে এক বিশেষ অনুভূতি প্রকাশ করে। কেবলমাত্র ডাকের মাধ্যমে আসা দূর হতে প্রিয়জনের চিঠি বা পার্সেলের অপেক্ষায় অথবা গ্রহণ করা চিঠি বা পার্সেলের ঘ্রাণ নিয়েই কত মানুষ কত রাত নির্জনে কাটিয়েছে, কত চোখ প্রিয়জনের গাঁথুনির দিকে তাকিয়ে অশ্রু-সাগর বইয়ে দিয়েছে, তা সম্পর্কের গভীরতাও বোঝায়। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রিয় মানুষের উপহার পাওয়ার মধ্যে যে ব্যাকুলতা, আবেগ, মায়া, ভালোবাসা থাকে, তা অন্য কোনো মাধ্যমে পাওয়া যায় না।

৯ অক্টোবর, বিশ্ব ডাক দিবস। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের বিশ্ব ডাক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো জনগণের জন্য পোস্ট : স্থানীয় পরিষেবা, বৈশ্বিক পরিসর (Post for People: Local Service, Global Reach)। ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়ন (UPU) এই প্রতিপাদ্যটির ওপর একটি বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচারণায় অংশ নিতে সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান করেছে। এই প্রতিপাদ্যটি মেলে ধরে যে ডাক পরিষেবাগুলো জনগণের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে পরিষেবা প্রদান করে, এবং সর্বজনীন তাদের একটি অপরিহার্য প্রভাব রয়েছে।

১৮৬৮ সালে জার্মান ডাক বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জে. হাইনরিখ ফন স্টিফেন একটি পোস্টাল ইউনিয়ন গঠন করতে প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন এবং রূপরেখা রূপে জার্মান সরকারের সমীপে পেশ করেন। ধারণাটি ভিত্তি ধরে জার্মান সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করে। সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে ডাক বিভাগের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৭৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর অবধি ২২টি দেশের ডাক বিভাগ মিলিত হয়ে এসম্মেলন আয়োজন করে। সম্মেলনের শেষ দিন ৯ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় জেনারেল ইউনিয়ন অব পোস্ট। ১৮৭৮ সালে জেনারেল ইউনিয়ন অব পোস্ট রূপান্তর করে বিশ্ব ডাক সংস্থা সৃষ্টি হয়। বিশ্ব ডাক সংস্থা গঠনের পর যে কোনো ভূখণ্ড থেকে লিপি ভিন্ন জাতি বিনা মাশুলে লাভ করে।

পূর্বে একটি চিঠি আন্তঃদেশীয় হলে যে সংখ্যক ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যেকার গমন করতো, ওসব ভূমির ডাকটিকিট খামে যুক্ত করতে হতো। এতে করে ডাক বিভাগকে পোহাতে হতো অনেক ঝঞ্ঝাট। ১৯৬৯ সালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ডাক সংস্থার ১৬তম অধিবেশন। ওই সভায় ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন দিবস স্বরূপ উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে জার্মানির হামবুর্গে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ডাক সংস্থার ১৯তম অধিবেশন। ওই অধিবেশনে বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন দিবস পরিগণিত হয় বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে।

বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে বিশ্ব ডাক সংস্থার সদস্যপদ অর্জন করে। অনন্তর বাংলাদেশ ডাক বার্ষিক ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে উদ্‌যাপন করে আসছে। এ বছরও বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা, পত্র লিখন প্রতিযোগিতা এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে পরিচালিত একটি সরকারি সংস্থা, যা তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি অংশ। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি চিঠি, পারসেল, এবং অন্যান্য ডাক দ্রব্য গ্রহণ, পরিবহন ও বিলিকরণ সেবা। এছাড়া, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস সঞ্চয় ব্যাংক পরিচালনা, ডাক জীবনবিমা, বিভিন্ন ধরনের এপ্রেস (যেমন ইএমএস) ও রেমিট্যান্স সেবা প্রদান, এবং বুক পোস্ট ও রেজিস্টার্ড সংবাদপত্র সেবার মতো অন্যান্য বাণিজ্যিক ও আর্থিক কার্যক্রমও পরিচালনা করে থাকে। দ্রুত, বিশ্বস্ত ও সঠিক সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এপ্রেস (যেমন ইএমএস বা এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস) চালু করেছে, যার মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে ট্র্যাক করা যায়। ডাক বিভাগ, ডাক প্রেরণের সাথে সম্পর্কিত কুরিয়ার সেবা, যেমন গিফটেড এডুকেশন প্রোগ্রাম (জিইপি) ও ইএমএস, সরবরাহ করে থাকে। ভ্যালু পেয়েবল (ভিপি) সেবা এবং অন্যান্য অনুমোদিত ব্যাংকিং কার্যক্রমও এর অন্তর্ভুক্ত।

এ সময় বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করায় তাদের মূল কার্যক্রম অর্থাৎ পত্র বিলিকরণ অনেকাংশে কমে যাওয়ায়, বিভাগটি ঢাকা সহ বিভিন্ন মহানগরে টেলিফোন বিলও বিতরণ করে থাকে।

একটা সময় ছিল-মানুষের সুখ-দুঃখ, আবেগ-অনুভূতি, প্রেম-ভালোবাসা, পরিবেশ-পরিস্থিতি সবই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রেরণ করতেন। প্রিয় মানুষের হাতের স্পর্শের একটা যে-কোনো পারসেল বা চিঠির জন্য অপেক্ষা দীর্ঘ সময় ধরে। খাম-পোস্টকার্ডে বড়বড় করে ঠিকানা লেখা থাকত। ডাক পিয়ন রা সেই ঠিকানা ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিঠি পৌঁছে দিতেন। এখন এসব যেন অতীত।

একজন ডাক হরকরার জীবন ছিল কঠিন ও সংগ্রামী, যেখানে তাকে হাতে করে চিঠি ও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করতে হতো, যা ছিল একটি জরুরি ও দায়িত্বপূর্ণ পেশা। এই পেশায় তাদের গ্রাম-গ্রামান্তরে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে বেড়াতে হতো, যা ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই পেশাটি এখন প্রযুক্তির কারণে প্রায় বিলুপ্ত, তবে সাহিত্যে ও ভাস্কর্যে তাদের স্মৃতি আজও অম্লান।

ডাক হরকরাদের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল তাদের কঠোর পরিশ্রম। তাদের দিনের পর দিন, রাতের পর রাত দ্রুত গতিতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হতো, যা ছিল একটি অত্যন্ত শ্রমসাধ্য কাজ। চিঠি বা বার্তা পৌঁছে দেওয়া তাদের কাছে ছিল এক বিরাট দায়িত্ব। প্রতিকূল আবহাওয়া, বন্যপ্রাণী এবং রাস্তাঘাটের বাধা উপেক্ষা করে তাদের সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হতো। ডাক হরকরা গ্রামীণ জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। তারা শুধু চিঠিই বহন করতেন না, মানুষের সুখ-দুঃখের খবর, আনন্দ ও বেদনার অনুভূতিও বহন করে নিয়ে যেতেন। গগন হরকরা এই পেশার পাশাপাশি কৃষি কাজ করতেন, যা থেকে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। এই পেশা তাদের সে সময়ের গ্রামীণ সমাজে একটি বিশেষ স্থান করে দিয়েছিল।

উন্নত প্রযুক্তির প্রসারের ফলে ডাক বহন এখন একটি লুপ্ত পেশায় পরিণত হয়েছে। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট তাদের কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে।

তাদের এই জীবনকে আজ শুধু স্মৃতি হিসেবেই ধরা হয়। কুষ্টিয়া পৌরসভার নিশান মোড়ে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে, যা ডাক হরকরার এই অতীত জীবনকে তুলে ধরে।

বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকান্ত ভট্টাচার্য এবং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের লেখনীর মাধ্যমে ডাক হরকরার জীবনকে অমর করে রেখেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ডাকঘর’ নাটকে গগন হরকরা চরিত্রের মাধ্যমে ডাকহরকরাদের জীবন, তাদের আবেগ ও মানবতাবাদের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন। এছাড়া, সুকান্ত ভট্টাচার্যরে ‘রানার’ কবিতায় ডাকহরকরার জীবনসংগ্রাম, ক্লান্তি এবং মানবতাবাদের এক চমৎকার চিত্র পাওয়া যায়, যা তাদের জীবনের প্রতিকূলতা ও কর্তব্যের প্রতি একরূপ উৎসর্গীকৃত জীবনকে প্রকাশ করে।

নাটকের প্রধান চরিত্র গগন হরকরা একজন ডাকহরকরা ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই চরিত্রের মাধ্যমে মানবতা ও সকল মানুষের মধ্যে একাত্মতার বাণী বহন করেছেন, যা ডাকহরকরার জীবন ও কাজের এক প্রতীকী উপস্থাপনা।

রানার কবিতাটি ডাকহরকরাদের জীবনকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এখানে রানার বা ডাক হরকরাকে হরিণের মতো তেজি এবং জীবনসংগ্রামে লিপ্ত এক চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে। হাতে লন্ঠন করে ঠনঠন, ‘জোনাকিরা দেয় আলো’ - এই পঙ্‌ক্তিটি রানারের রাতের বেলায় চলাচলের চিত্র তুলে ধরে। জীবনের বহু বছরকে পিছু ফেলে, পৃথিবীর বোঝা ক্ষুধিত রানার পৌঁছে দিয়েছে ‘মেলে’ - এই লাইনগুলি ডাকহরকরাদের ক্লান্তি, পরিশ্রম এবং দায়িত্ববোধকে বোঝায়। ক্লান্তশ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ, ‘মাটি ভিজে গেছে ঘামে’ - এই অংশটি তাদের শারীরিক পরিশ্রম ও ত্যাগের বর্ণনা দেয়। অনেক দুঃখে, বহু বেদনায় অভিমানে, অনুরাগে ঘরে তার প্রিয়া একা শয্যায় বিনিদ্র রাত জাগে - এই পঙক্তিগুলি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কাজ করা ডাকহরকরাদের ব্যক্তিগত কষ্টের ছবি তুলে ধরে।

এই উক্তি এবং রচনাগুলি থেকে বোঝা যায় যে, কবি সাহিত্যিকরা ডাক হরকরাদের শুধু একজন সাধারণ পেশাজীবী হিসেবে দেখেননি, বরং তাদের জীবনকে মানবতাবোধ, ত্যাগ ও প্রতিকূলতার প্রতীক হিসেবেও চিত্রিত করেছেন।

আগ্রহের সঙ্গে পোস্টাল স্ট্যাম্প সংগ্রহ, বা ফিলাটেলি, ডাকটিকিট এবং সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্র, যেমন স্ট্যাম্পযুক্ত খাম ও পোস্টমার্ক সংগ্রহ একটি তাৎপর্যপূর্ণ শখ। এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও শিল্পকলার প্রতি আগ্রহের কারণে একটি জনপ্রিয় শখ এবং এটি একটি দেশের পরিচয় তুলে ধরতে সাহায্য করে। ১৮৪০ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম সরকারি ডাকটিকিট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এটি একটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় শখ হয়ে ওঠে।

কোনো নির্দিষ্ট দেশ, ডাকটিকিটের থিম (যেমন : পাখি, ফুল, ঐতিহাসিক ঘটনা), বা সময়ের ওপর ভিত্তি করে সংগ্রহ শুরু করতে পারেন। স্ট্যাম্প সংগ্রহ করার জন্য একটি সাধারণ নোটবুক বা অ্যালবাম ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি স্ট্যাম্পের পাশে তারিখ, উৎস এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য লিখে রাখতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাম্প, তাদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং শিল্পকলা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করার মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধি বহুলাংশে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাম্প অ্যালবাম পাওয়া যায়। এগুলি স্ট্যাম্প সংরক্ষণে সাহায্য করে।

এসন উদাহরণ মনে আসলে মনে হয় পোস্ট অফিসের প্রয়োজন শুধু একে অপরের যোগাযোগের জন্য নয়, তা ছাড়িয়েও বৃহৎভাবে তা সময়, ইতিহাসকে চিনিয়ে দেয়। তাই বিশ্ব ডাক দিবসে মানুষ হয়ত আবার কালি, কলম ও কাগজ নিয়ে বসবে, কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মতো আবার কেউ লিখবে, ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান দেখেছি অনেক’।

বাংলাদেশ ডাক বিভাগে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, বিদ্যমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগেও সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত ডাকসেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। সৎ ও আন্তরিকতার মাধ্যমে গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আগামী দিনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখা এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ পোস্টের পদচারণা দৃঢ় করা।

একটা আর্জি দিয়ে শেষ করব - ডাক বিভাগ বাঁচুক, ঐতিহ্য বাঁচুক। কালি-কলম-মন, এই তিনের মিলন হোক আবার, আবার ডাক হরকরা বাড়ি বাড়ি আসুক, একটা বিপ্লব হোক-ঐতিহ্যের-যোগাযোগের বিপ্লব।


লেখক: প্রাবন্ধিক, কথা সাহিত্যিক এবং প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক 
মাদকবিরোধী সংগঠন ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল এন্টি অ্যালকোহল।



ডেল্টা টাইমস্/ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন/আইইউ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com