বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির গুরুত্ব
রায়হান আহমেদ তপাদার:
প্রকাশ: রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:২০ এএম

বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির গুরুত্ব

বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির গুরুত্ব

ফিলিস্তিন প্রশ্ন আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সংকটের একটি। এর শেকড় নিহিত রয়েছে বিশ শতকের গোড়ার দিক থেকে যখন মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র পুনর্গঠনের মাধ্যমে, একদিকে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তি নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছিল এবং অন্যদিকে স্থানীয় জনগণ তাদের নিজস্ব ভূমি, অধিকার ও পরিচয় রক্ষার লড়াই করছিল। আজকের দিনে ফিলিস্তিন কেবল একটি জাতির স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার প্রশ্ন নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কূটনৈতিক ন্যায়নীতি এবং শক্তির রাজনীতির এক প্রতীক।গাজা যুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটনের প্রতি আন্তর্জাতিক হতাশা চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রকাশ্যে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতির জন্য বড় পরীক্ষা।ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ট্রাম্প এখন শুধু এক প্রত্যক্ষদর্শী। এ অবস্থায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আক্রমণ বাড়িয়েছে। ওয়াশিংটন তাদের ঘনিষ্ঠ আঞ্চলিক মিত্রকে লাগাম দিতে তিনি অনিচ্ছুক। ২৪ সেপ্টেস্বর রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলতি মাসের শুরুতে কাতারে হামাস নেতাদের ওপর হামলা চালিয়ে ট্রাম্পকে অন্ধ করে দিয়েছিলেন। এ হামলা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিশ্চিত করতে ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ চেষ্টাকে প্রায় ব্যর্থ করে দিয়েছে। তখন থেকে ইসরায়েল গাজা সিটিতে একটি স্থল অভিযান শুরু করে, যা যুক্তরাষ্ট্র কোনো আপত্তি ছাড়াই মেনে নিয়েছে। গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইলেও যুক্তরাষ্ট্র চুপ। 

ওয়াশিংটনের মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউট থিঙ্ক ট্যাঙ্কের জ্যেষ্ঠ ফেলো ব্রায়ান ক্যাটুলিস বলেন, ট্রাম্প এ অঞ্চলে, বিশেষ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শীর্ষ ফ্রন্টে কোনো বড় অগ্রগতি বা অর্জন করতে সক্ষম হননি। আসলে তিনি যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে।প্রায় দুই বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসান আগের চেয়েও বেশি দূরবর্তী বলে মনে হচ্ছে। জাতিসংঘের বেশির ভাগ সদস্য রাষ্ট্র ১৯৬৭ সালের ৪ জুন-পূর্ববর্তী সীমান্তের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাম এ তালিকায় যুক্ত করতে সম্মত হয়েছে। রোববার যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল এই স্বীকৃতি দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ ও মাল্টার সঙ্গে অ্যান্ডোরা ও মোনাকো ওই তালিকায় নাম লিখিয়েছে। রাষ্ট্রসত্তা অর্জনের জন্য সব শর্তই পূরণ করেছে ফিলিস্তিন। ২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে দেশটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রসত্তার সামনে এখন একমাত্র বাধা হলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের বারবার ভেটো। এটা বিশেষভাবে দারুণ এক ব্যাপার যে যুক্তরাজ্য, যার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোর ১৯১৭ সালে এক ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনে ১০০ বছরের যুদ্ধ লাগিয়ে দিতে পেরেছিলেন। অবশেষে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়ে ঐতিহাসিক ভুল সংশোধন করছে। ১৯৬৭ সালের সীমান্ত মেনে লন্ডনের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি প্রদানের ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আরব নেতাদের দেওয়া তার প্রতিশ্রুতিও অবশেষে পূরণ হয়েছে। আগ্রহীরা এ জন্য ম্যাকমাহন-হুসেন পত্রালাপ বলে খ্যাত দলিলটি দেখতে পারেন।তবে এটি সত্য, নিছক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলে এবং ইসরায়েলি আখ্যান খণ্ডন করলেই অবৈধ ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে না। এমনকি গাজায় চলমান গণহত্যার যুদ্ধও বন্ধ হবে না।

তবে এটি একটি স্পষ্ট এবং স্থায়ী ভাষ্য তৈরি করবে-পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনি অঞ্চল এবং ফিলিস্তিনি জনগণের; গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সেই ভূমিতে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার রয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো আলোচনাকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার এবং দুটি রাষ্ট্র ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সম্পর্ককে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রয়োজনীয়তার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অধীনে থাকা ফিলিস্তিনও ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ধরন, যার মধ্যে সীমান্ত, ইহুদি বসতি স্থাপনকারী, ফিলিস্তিনি শরণার্থী, পানির অধিকার এবং দুটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রের মধ্যে অন্য সব দিক নিয়ে আলোচনা করতে পারে। তবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও বিশ্ব সম্প্রদায়কে এর ধারাবাহিকতা হিসেবে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। কঠোর প্রচেষ্টা এবং ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ, অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অপরাধমূলক যুদ্ধ বন্ধ, সব অবৈধ বসতি স্থাপনকারী কার্যক্রম স্থগিত করা, বসতি স্থাপনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং হোয়াইট হাউসে ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা ও ইসরায়েল স্বাক্ষরিত ১৯৯৩ সালের নীতিমালার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে হবে।ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দানকারী দেশগুলোকেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করতে হবে, যার বর্তমান শান্তিপ্রিয় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তাঁর প্রতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র অযথাই দানবীয় আচরণ করছে, যদিও তিনি হামাসের বিরোধিতা করেছেন এবং সাম্প্রতিক ফরাসি-সৌদি পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন, যেখানে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছার আগে একটি রোডম্যাপ প্রয়োজন, যাতে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক ও আরব বাহিনী দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়; যার স্পষ্ট ম্যান্ডেট ও সময়সীমা থাকবে। একবার এটি সম্পন্ন হয়ে গেলে ফিলিস্তিনিরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম হবে। এর মাধ্যমে শতাব্দীপ্রাচীন ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের শর্তাবলি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার জন্য স্পষ্ট ম্যান্ডেটধারী নেতা বেরিয়ে আসবেন। যদিও এটি একটি দিবাস্বপ্ন বা এমনকি অসম্ভব মিশনের মতো মনে হতে পারে; কিন্তু যদি ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির মধ্যে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি অব্যাহত থাকে, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে সম্ভব। এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা হিসেবে ওয়াশিংটন একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক কিছু করতে পারে।বিশ্বশক্তিগুলোকে কেবল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেয়ে আরও বেশি কিছু করতে হবে, বিশেষ করে যদি ইসরায়েল এর প্রতিশোধ হিসেবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে আরও ভূমি অবৈধভাবে দখলের সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়ে এমন ব্যবস্থা আছে, যার আওতায় জাতিসংঘের সদস্যরা যে কোনো দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র এবং সনদের প্রতি সম্মান দেখাতে অস্বীকারকারীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য ভোট দিতে পারে। এই ব্যবস্থার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ। বহু দশক ধরে দেশটির রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক উভয় প্রশাসন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করছে।তাই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অনেক কিছু করতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তাঁর প্রতিনিধিকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাবে ভেটো না দিতে বলেন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৎ বিশ্বাসে আলোচনা করার জন্য তাঁর প্রিয় ইসরায়েলের মিত্রদের ওপর কঠোর ভালোবাসা প্রয়োগ করেন, তাহলে তিনি অবশ্যই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যোগ্য হয়ে উঠবেন। গাজা নিয়ে কম জড়িত দেখা গেলেও জাতিসংঘের সাইডলাইনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ট্রাম্প হামাসের সম্পৃক্ততা ছাড়াই গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী শাসন ব্যবস্থার জন্য মার্কিন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবেন এবং সেখানে নিরাপত্তার জন্য আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে সামরিক বাহিনী অবদান রাখতে চাপ দেবেন। আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো প্রশ্ন তুলছে : যদি ইউক্রেনের জনগণ স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার পায়, তবে ফিলিস্তিনিরা কেন পাবে না? ব্রিটেনের স্বীকৃতি এই প্রশ্নকেই আরও জোরালো করে তুলেছে। আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যেও এই সিদ্ধান্তের প্রতিধ্বনি শোনা যাবে। যদিও আরব বিশ্বের ভেতরে বিভাজন আছে এবং কিছু দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে, সাধারণ জনগণ এখনো প্রবলভাবে ফিলিস্তিনের পাশে। সৌদি আরবও স্পষ্ট জানিয়েছে, ফিলিস্তিন প্রশ্ন সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করবে না। ব্রিটেনের স্বীকৃতি সেই অবস্থানকে আরও শক্তি জোগাবে। রাশিয়া ও চীনের ভূমিকাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছে, কারণ এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করে। চীনও সাম্প্রতিক সময়ে আরব বিশ্বে প্রভাব বিস্তারের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন প্রশ্নে সক্রিয় হয়েছে। ফলে ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত কেবল পশ্চিমা রাজনীতিতে নয়, বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্যেও নতুন প্রভাব ফেলবে। ফিলিস্তিন প্রশ্ন এখন শুধু একটি আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব নয়, বরং বিশ্বরাজনীতির নৈতিকতার পরীক্ষাপত্র। তবে যাইহোক, ব্রিটেনের এই স্বীকৃতি ভবিষ্যতের সেই মুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য।

ডেল্টা টাইমস/রায়হান আহমেদ তপাদার/সিআর/এমই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
  এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ  
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।

ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সম্পাদক: মো. আমিনুর রহমান
প্রকাশক কর্তৃক ৩৭/২ জামান টাওয়ার (লেভেল ১৪), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত
এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত।
ফোন: ০২-২২৬৬৩৯০১৮, ০২-৪৭১২০৮৬০, ০২-৪৭১২০৮৬২, ই-মেইল : deltatimes24@gmail.com, deltatimes24@yahoo.com